পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস

জানুন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রাচীন ইতিহাস এবং তথ্য

Posted on

পুরীর জগন্নাথ মন্দির ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরী শহরে অবস্থিত একটি বিশাল হিন্দু মন্দির। এটি হিন্দুধর্মের চার মহামন্দিরগুলির মধ্যে একটি। এই মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীজগন্নাথের উপাসনার জন্য প্রসিদ্ধ।

জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস প্রাচীন এবং অস্থায়ী বিষয় সম্পর্কে অনেক বিতর্ক রয়েছে। মন্দিরটি প্রথমতঃ মাগধ সাম্রাজ্য এর রাজা যয়াতিস্ত্র দ্বারা নির্মিত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এরপর মন্দিরটি সাম্রাজ্য বিস্তার করে আশোক এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের কালে পরিমার্জিত হয়। প্রথমবারে জগন্নাথ মন্দিরের উল্লেখ হয় চীন পর্যটক সুনয়বান দ্বারা সম্পাদিত বিবরণগুলিতে।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস

মন্দিরটি পুরী শহরের মধ্যে অবস্থিত এবং দুইটি প্রধান ভবনে বিভক্ত। প্রথম ভবনটি মুখ্যতঃ জগন্নাথ

এবং বালভদ্রের পূজা করা হয়। দ্বিতীয় ভবনটি অন্যদিকে পূর্বদিকে অবস্থিত এবং শ্রীগৌরাঙ্গ এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পূজা করা হয়।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির কত সালে তৈরি হয়েছিল

1112 খ্রিস্টাব্দের পরে শুরু হয়েছিল। মন্দিরের ইতিহাসের একটি গল্প অনুসারে, এটি দ্বিতীয় অনঙ্গভীম দেব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল : বিভিন্ন ইতিহাসে বিভিন্নভাবে 1196, 1197, 1205, 1216, বা 1226

জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা ২০৮ ফুট, দৈর্ঘ্য ২০০ ফুট এবং প্রতিষ্ঠাতার নাম রাজা আনন্দ ভবনের ছত্রবর্তী ভুপতি যশোবদ্ধ রাজা। মন্দিরের উপরে সিক্কিম এবং আসামের কুমারী প্রাণী পালা করা হয়।

জগন্নাথ মন্দিরের একটি দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য

প্রতিবছর জুলাই-আগস্ট মাসে রথ যাত্রা উৎসব। এই উৎসবটি অসম থেকে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য এর সময় থেকে শুরু হয়। উৎসবের দিনে জগন্নাথ এবং তার ভাই বালভদ্র এক বড় রাথে সমস্ত শ্রদ্ধালুদের দেখার জন্য পুরীর রাস্তা দুই পাশ থেকে পার হয়। এই উৎসব বিভিন্ন ধর্মীয কর্মসূচির জন্য

এছাড়াও পড়ুন: আজকে বাংলা মাসের কত তারিখ: সঠিক তথ্য জানুন

স্বীকৃতি পায় এবং পূরী সম্পর্কিত দেশের সেলিব্রিটি, পলিটিশিয়ান এবং সমাজসেবী এইচ এম এস ইকবাল এর প্রচেষ্টায় এই উৎসবটি জনপ্রিয় হয়েছে।

জগন্নাথ মন্দিরে সমস্ত বিশ্বের যাত্রীদের জন্য খুলা আছে। আপনি প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। যদি আপনি কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে চান, তবে আপনাকে মন্দির পরিচালক কাছে আবেদন করতে হবে।

জগন্নাথ মন্দির একটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান এবং পুরী ভ্রমণের অবিচ্ছিন্ন অংশ। এটি হিন্দুধর্মের একটি গৌরবময় স্থান এবং তার ঐতিহ্য ও প্রাচীনতা প্রতিফলিত করে।

পুরী শহর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং বিশ্বের প্রমুখ ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। পুরীর বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যেমন সোনারগাঁয়া সমুদ্র সৈকত, চাকড়ি বিহার, সুনর্দী জলপ্রপাত এবং বেলতাল বীচ। পুরীতে আপনি একটি অলস দিন কাটাতে পারেন এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে পরিচয় করতে পারেন।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেন?

রীর জগন্নাথ মন্দির হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরের একটি বিশ্বখ্যাত হিন্দু ধর্মীয় মন্দির। এই মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের ত্রিমুর্তির একটি হিসাবে পরিচিত। জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু দেবতা জগন্নাথ, বালভদ্র এবং সুবদ্রা উপস্থিত আছে।

জগন্নাথ মন্দির নির্মাতা হিসাবে প্রথম নাম উল্লেখযোগ্য রাজা আনন্দবর্ধন দেওগী হলেন। এরপর এই মন্দিরের বিভিন্ন অংশগুলি পরিমার্জিত হয়ে গেছে বহুবিধ রাজা ও সেনাপতির কাজে। বাংলার মুসলমান শাসক আলাউদ্দিন হুসাইন দ্বারা একটি জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়।

এছাড়াও পড়ুন:  Rash Purnima 2023|রাশ পূর্ণিমা ২০২৩ সময় ও তারিখ

একটি আদর্শ পরিচালক হিসাবে জানা হয় রাজা আনন্দবর্ধন যিনি হিন্দু ধর্মের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মন্দিরটির নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দেন এবং মন্দিরটির স্থায়িত্ব ও

উনতি নিশ্চিত করতে তাঁর পরামর্শে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ হয়। আগে এই মন্দিরের স্থানে একটি বড় আলতামগাচ্ছ ছিল, তবে আনন্দবর্ধন তাকে একটি মন্দির হিসাবে উদ্ভাবন করতে চায়।

বাংলার শাসক আলাউদ্দিন হুসাইন জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ করে তাঁর সেনাপতি শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এর অধীনে রাখেন। আলাউদ্দিন হুসাইনের সাম্রাজ্যের অবসানের পর মুগল সাম্রাজ্য এখন বাংলার বেশির অংশটি আবিষ্কৃত করে নিয়েছে। তবে জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে আলাউদ্দিন হুসাইনের সেই মন্দিরটি পর্যালোচনা এখনো চলছে।

এছাড়াও পড়ুন: বাংলা ক্যালেন্ডার ২০২৩ | তারিখ, সংক্রান্তি এবং তথ্যের সম্পূর্ণ গাইড

জগন্নাথ মন্দিরের উৎপত্তি নির্দেশ করা হয় কমলপুর রাজা অনাঙ্গ ভুপতি দ্বারা হওয়া সম্ভব। কিন্তু বিভিন্ন উল্লেখ থাকা এটি উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নয়।